অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা নিয়ে কেন এই বিতর্ক?


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যম এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা নিয়ে কয়েকমাস ধরেই বিতর্ক চলে আসছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই ব্যাপক অপব্যবহার হবে এ নীতিমালার। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যবহার করা যাবে এটি। কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি'র তৈরি করা খসড়া নীতিমালায় অপরাধের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা নেই। তাছাড়া, এটি ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করবে বলেও দাবি অনেকের। সরকারের সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে এ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এটি এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। এ নিয়ে আরো আলোচনা হবে, এটি পর্যালোচনা করা হবে।

ওদিকে এ আইনের খসড়া প্রত্যাহার চেয়ে বিটিআরসি'র কাছে ৪৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে চিঠি দেয়া হয়।এতে বলা হয়, প্রবিধানটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এনক্রিপশন ও অনলাইন নিরাপত্তাকে দুর্বল করবে। এটির প্রয়োগ মানবাধিকারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। একইসঙ্গে সাংবাদিক, ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলবে। এই প্রবিধানগুলো দ্বারা বিচার বিভাগীয় তত্ত্বাবধান, স্পষ্টতা, পূর্বাভাসযোগ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষায় যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণ ছাড়াই একটি কাঠামো বাস্তবায়ন হবে। যা মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

সংস্থাগুলোর মধ্যে অ্যাক্সেস নাও, আর্টিক্যাল ১৯, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রগ্রেসিভ কমিউনিকেশনস (এপিসি), বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টার, সিসিএওআই, সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টেকনোলজি, সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ-নেপাল (সিএমআর-নেপাল), কোলাবরেশন অন ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি পলিসি ফর ইস্ট অ্যান্ড সাউদার্ন আফ্রিকা, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, ডিজিটাল ডেমোক্রেটিক কোলাবরেশন উল্লেখযোগ্য।

সুরক্ষা বলয়ের অনুপস্থিতি 'সংবিধান পরিপন্থী'- টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করে, ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরিকৃত আধেয় শুধুমাত্র প্রচার ও প্রকাশে সহায়তা করার কারণে মধ্যস্থতাকারীদের জন্য শাস্তির যে বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে সুরক্ষা বলয়ের অনুপস্থিতি সংবিধান পরিপন্থী। মধ্যবর্তী সেবাদানকারী মাধ্যমের জন্য সুরক্ষা বিধান না করা হলে, জরিমানা এড়াতে তারা "আত্মনিয়ন্ত্রণের" জায়গা থেকে আধেয় পরিবেশনে অতিরিক্ত মাত্রায় সাবধানতা অবলম্বন করবে। এর ফলে স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে অযাচিত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে, যা সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

টিআইবি আরও বলছে, খসড়া নীতিমালার উল্লেখিত শর্তাবলীতে 'ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা প্রদানের' ধারণাকে যেভাবে নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমানা দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা ভ্রান্তিমূলক, অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অযৌক্তিক। তাছাড়া 'ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী' প্রতিষ্ঠানসমূহ যেভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, সে ধারণারও পরিপন্থী। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে ভোক্তাকে দেশের ভৌগলিক সীমানার বাইরের প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, যা নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তিকে বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবসার খরচ বৃদ্ধি করবে।

অনেকে না বুঝে কথা বলছেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেছেন, "সরকার খসড়াটি আরও পর্যালোচনা করবে। বিটিআরসি আদালতের নির্দেশে কেবল একটি নীতিমালা দাঁড় করিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ওই নীতিমালার ওপর জনমত চাওয়া হয়েছে। কিন্তু খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্ত কিছু নয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবো। তাদের বক্তব্য শোনা হবে। তারপর খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।" তিনি বলেন, "অথচ এখনই অনেকে নানা ধরনের সমালোচনা করছেন। বিতর্ক তৈরি করছেন। মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। আসলে এখন যারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন তারা না জেনে না বুঝে বলছেন।" তিনি বলেন, "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নানা ধরনের কথা বলা হয়েছে। তখন বার্তা দেয়া হয়েছিল এতে গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হবে। বাস্তবে কি তাই হয়েছে? হয়নি। এই নীতিমালা নিয়েও এরকম কিছু হবে না। স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়েই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে। এ নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই।"

কী আছে খসড়ায়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোও তাদের মতামত জানিয়েছে বারবার। কিন্তু আইনটি এখন পর্যন্ত সংশোধন করা হয়নি। সাংবাদিকসহ ভিন্নমতের মানুষের বিরুদ্ধে এ আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিতর্কের মধ্যেই এখন আলোচনায় এলো সামাজিক মাধ্যম ও ওটিটি নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা। বিটিআরসির খসড়া নীতিমালায় নানা ধরনের বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- কোনো ধর্মের অনুসারীদের আহত করে বা আঘাত দেয়- এমন কোনো মন্তব্য বা বিষয় প্রচার করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, এমন কিছু করা যাবে না। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হেয় করে মন্তব্য বা কটূক্তি করা যাবে না। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ফেসবুক এবং ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে কোনো মন্তব্য এবং খবর প্রচার বা পোস্ট করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া নেটফ্লিক্স, হইচই এবং অ্যামাজন প্রাইমসহ বিনোদনের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে অশ্লীল এবং অনৈতিক কোনো কনটেন্ট প্রচার করা যাবে না। নীতিমালায় বলা হয়েছে- বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধু দেশগুলোর সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে- এ ধরনের মন্তব্য, খবর বা কনটেন্ট সামাজিক মাধ্যমে বা বিনোদন প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা যাবে না। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী কেউ এটি না মানলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়মের কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়। খসড়া অনুযায়ী, মেসেজিং অ্যাপগুলোতে এবং সামাজিক মাধ্যমে কোনো পোস্ট বা বক্তব্যের কারণে দেশে যদি কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে প্রথম যে ব্যক্তি পোস্ট বা বক্তব্য দিয়েছেন তার নাম প্রকাশ করতে হবে। বিটিআরসি'র করা ওই নীতিমালার প্রস্তাবিত নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফরমস’। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি তাদের ওয়েবসাইটে ১৬ পৃষ্ঠার খসড়া নীতিমালাটি ইংরেজিতে প্রকাশ করে।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি'র ভাইস চেয়্যারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানিয়েছেন, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনাগুলোর পর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক মাধ্যমে শৃঙ্খলার বিষয়ে একজন আইনজীবী রিট করেছিলেন। সেই রিটের প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট থেকে বিটিআরসিকে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়।

এই আইনে বাক স্বাধীনতা খর্ব হবে- শাহদীন মালিক

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনের শিক্ষক ড. শাহদীন মালিক এ প্রসঙ্গে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের অভিজ্ঞতা থেকে যেটা দেখা গেছে, আইনটার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কম্পিউটার হ্যাকিং, ডাটা চুরি, একে অপরের কম্পিউটারে ঢুকে ফাইল চুরি বা কম্পিউটারে ঢুকে যে অপরাধ করা হয় সেগুলোর শাস্তির বিধান করা। সাথে সাথে ডিজিটাল মাধ্যমের কিছু বাক স্বাধীনতা প্রকাশের স্বাধীনতাকেও খর্ব করা হয়েছিল। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে আমরা দেখলাম, কম্পিউটারের মাধ্যমে যেসব অপরাধ করা হয় যেটাকে আমরা বড়দাগে বলি কম্পিউটার হ্যাকিং সেই ব্যাপারে মামলা হয়নি বললেই চলে। বাক স্বাধীনতা, মতামত প্রকাশ এগুলোর ওপর শত শত মামলা হয়েছে। এখন ওটিটি প্লার্টফর্ম বা অন্যান্য নীতিমালা এবং বিধিমালার কথা বলা হচ্ছে। আগামী বছর নির্বাচন, এখন বাক স্বাধীনতা খর্ব করা বা সরকারের সমালোচনা করা বা নিরুৎসাহিত করা বা সীমিত করার আশঙ্কা হয় ওই কারণেই এটার প্রয়োগ হবে। যদিও ভালো ভালো কথা বলা থাকবে। যেটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও ছিল। কিন্তু আশঙ্কা হয় যে, আসল উদ্দেশ্য হবে আগামী নির্বাচন মাথায় রেখে সরকারের সমালোচনাকে নিরুৎসাহিত করা। সরকারের সমালোচনার জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করার ওই উদ্দেশ্যেই হয়ত ব্যবহৃত হবে। যেটা সারা বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।"

তিনি বলেন, "যেভাবে আইনটা তৈরি হচ্ছে তাতে মামলা করাটা খুব কঠিন হবে। একজন আইনজীবী আদালতে রিট করেছেন আইন করার জন্য। আগে কি এরকম ঘটনা ঘটেছে? এই প্রশ্নের জবাবে শাহদীন মালিক বলেন, আইন করা না করা সম্পূর্ণ সরকারের এখতিয়ার, সংসদের এখতিয়ার। সংসদ আইন করার পরে, সরকার বিধি জারি করার পরে এটা আইনসম্মত হয়নি এমন চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার কথা। কিন্তু আজকাল আমরা দেখছি কিছু কিছু ঘটনায় আদালত এরকম আইন করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ও আছে। কি করা হবে, কি বিধিনিষেধ জারি করা হবে এটা হাইকোর্টের বিষয় না। মাঝামাঝি আমরা এর ব্যত্যয় দেখছি।"

ব্যক্তিগত যোগাযোগের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে- কাজী মাহফুজুল হক সুপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "এই আইন তৈরি হলে এখানে আমাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের যে গোপনীয়তার অধিকার এটা ক্ষুণ্ন হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। সেইসঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এখানে সামাজিক এবং ডিজিটাল যে মিডিয়াগুলো তাদের ওপর এমন কতোগুলো দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া হয়েছে যেগুলো অনেকক্ষেত্রেই তারা পালন করতে পারবে না। বিশেষ করে আমাদের দেশে যেগুলো ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের তথ্য পযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা তাদের জন্য খুব কঠিন একটা আইন হবে।"

শঙ্কার স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এখানে সোশ্যাল মিডিয়ার যারা বার্তা প্রেরক তাদের পরিচয় প্রকাশ করার একটা বাধ্যবাধকতা তাদের ওপর দেয়া হচ্ছে। যারা সার্ভিসটা দিচ্ছে তাদের আমরা যদি পরিচয় প্রকাশ করার জন্য বাধ্য করি তাহলেতো এনক্রিপশনটা ভাঙ্গতে হবে। তাহলে যোগাযোগের যে গোপনীয়তা সেটা থাকবে না। আর এটা যখন জানতে পারবে সবাই তখন- আমি আমার ওপরেই নিজে নিজেই একটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করব। আমি যে মতামতটা প্রকাশ করতে পারতাম আমি সেটা আর প্রকাশ করব না।"

তিনি আরও বলেন, "এগুলোর অপপ্রয়োগের স্থানগুলো আমরা দেখেছি। বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মী ও মানবধিকারকর্মী তাদের ওপর আগের আইনের অপপ্রয়োগ আমরা দেখেছি। সেটা কিন্তু এই আইনেও হবার সম্ভাবনা আছে।"

"আজ আমার মন খারাপ" এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি এটা নিয়ে বিব্রত। আমার কথাকে একটু বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের একটা ওয়েবিনার হয়েছিল। সেখানে আমি একটা পরম্পরা দেখিয়েছি যে, কীভাবে আমাদের আইনগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। আমরা সাইবার সিস্টেমকে নিরাপদ করতে গিয়ে এমন কতোগুলো আইন করছি সে আইনগুলো যে শুধু নির্বাহী বিভাগকে ক্ষমতা দিচ্ছে তা না। আমাদের সাধারণ মানুষদেরও অসহিষ্ণু করে তুলছে। সাধারণ মানুষরা কিন্তু এখন এই​ আইনগুলোর সুযোগ নিয়ে মামলা করছে। আমি বলেছিলাম- পরিস্থিতি এতোটা খারাপ হতে পারে যে, একটা সময় এসমস্ত আইন করার কারণে আমি যদি স্ট্যাটাস দেই- আমার মন খারাপ, কারো কাছে এটা ভালো নাও লাগতে পারে। সে তখন রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মামলাও করতে পারে।"

XS
SM
MD
LG