কিয়ামতের নমুনা কি রকম হতে পারে?What can be the pattern of resurrection?
আবু সায়িদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ
“আল্লাহ তা‘আলা বলবেনঃ
হে আদম, সে বলবেঃ সদা উপস্থিত এবং তোমারসন্তুষ্টির জন্য প্রচেষ্টার পর প্রচেষ্টা, কল্যাণ কেবল তোমার হাতেই।
তিনি বলবেনঃ জাহান্নামী দল বের কর। তিনি বলবেনঃ জাহান্নামী
দল কোনটি? তিনি বলবেনঃ প্রত্যেক হাজার থেকে নয়শত নিরানব্বই জন, তখনি ছোটরা বার্ধক্যে
উপনীত হবে।
সকল গর্ভবতী তার গর্ভ পাত করবে, তুমি দেখবে
মানুষরা মাতাল, অথচ তাদের সাথে মাতলামি নেই, কিন্তু আল্লাহর শাস্তি খুব কঠিন। তারা
বললঃ হে আল্লাহর রাসূল আমাদের থেকে সে একজন কে?
তিনি বললেনঃ “সুসংবাদ গ্রহণ কর, তোমাদের থেকে একজন
ও ইয়াজুজ-মাজুজ থেকে এক হাজার। অতঃপর তিনি বলেনঃ যার হাতে আমার নফস তার কসম করে বলছিঃ
আমি আশা করি তোমরা জান্নাতিদের এক চতুর্থাংশ হবে”।
আমরা তাকবীর বলে উঠলাম। তিনি বললেনঃ “আমি আশা করছি
তোমরা জান্নাতের এক তৃতীয়াংশ হবে”। আমরা তাকবীর বললাম।
তিনি বললেনঃ “আমি আশা করছি তোমরা জান্নাতের অর্ধেক
হবে”। আমরা তাকবীর বললাম।
তিনি বললেনঃ “মানুষের ভিতরে তোমরা সাদা ষাঁড়ের গায়ে
একটি কালো চুলের ন্যায়, অথবা কালো ষাঁড়ের গায়ের একটি সাদা চুলের ন্যায়”। [বুখারি, মুসলিম
ও নাসায়ি]
সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ৭০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সুবহানাল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
আল্লাহু আকবার
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল
আযীম
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাক্কুল
মুবিন
ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা
আস্তাগিছ
ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম
اللَّهُ
أَكْبَرُ
كَبِيرًا
وَالْحَمْدُ
لِلَّهِ
كَثِيرًا
وَسُبْحَانَ
اللَّهِ
بُكْرَةً
وَأَصِيلاً
"আল্লহু আকবার কাবীরা- ওয়াল হামদুলিল্লা-হি
কাসীরা- ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি বুকরাতান ওয়া আসীলা-”
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির
" سُبْحَانَ
اللَّهِ
عَدَدَ
خَلْقِهِ
سُبْحَانَ
اللَّهِ
رِضَا
نَفْسِهِ
سُبْحَانَ
اللَّهِ
زِنَةَ
عَرْشِهِ
سُبْحَانَ
اللَّهِ
مِدَادَ
كَلِمَاتِهِ
"
.
সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর সৃষ্টি সংখ্যার সমান), সুবহানাল্লাহি রিদা নাফসিহী (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর সন্তুষ্টি মোতাবেক), সুবহানাল্লাহি যিনাতা আরশিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ) এবং সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর কালাম সমুহের সমপরিমাণ)। ইবনে মাজাহ ৩৮০৮
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু
মিনাজ জালিমীন
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া
আ'উযু বিকা মিনান্নার
আললাহুমমা ইন্নি আউ’জুবিকা আন উশরিকা বিকা
ওয়া আনা আ’লামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা- লা- আ’লামু। (মুসনাদে আহমাদ, ছহিহ জামে)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায়
তোমার সাথে শিরক করা হতে তোমারই নিকট আশ্রয় চাই। আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা
প্রার্থনা করছি।
"
اللَّهُمَّ
إِنِّي
أَسْأَلُكَ
الْهُدَى
وَالتُّقَى
وَالْعَفَافَ
وَالْغِنَى
"
বাংলা উচ্চারণ: "আল্লাহুম্মা ইন্নি
আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা"
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এ দু’আ করতেন, “হে আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি হিদায়াত, তাকওয়া , চরিত্রের নির্মলতা ও
আত্মনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করি”। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৮৯
"আল্ল-হুম্মা আ-তিনা- ফিদ্দুন্ইয়া-
হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াকিনা- ‘আযা-বান্ না-র”। অর্থাৎ- ‘হে আল্লাহ!
আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতে কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে জাহান্নামের
শাস্তি হতে বাঁচিয়ে রাখো।’ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৭৩৩
আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ালিল মু'মিনীনা ওয়াল
মু'মিনাত, ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত।
আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা
হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া
ফা;ফু আন্নি '
হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল! ক্ষমা পছন্দ করো তাই আমাকে ক্ষমা করো'
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন
নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা
COMMENTS