লিবিয়ায় বিপজ্জনক জীবন, ফিরলেন ১৬০ অসহায় প্রবাসী

করোনা মহামারি ও দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে অসহায় হয়ে পড়া ১৬০ প্রবাসীকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৯ জন পুরুষ ও একজন নারী কর্মী রয়েছেন।

এ ছাড়াও একই ফ্লাইটে এসেছে এক প্রবাসীর মরদেহ। সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় মানবিক প্রত্যাবর্তন (ভিএইচআর) কর্মসূচির আওতায় প্রবাসীদের ফিরিয়ে এনেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

বুধবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রবাসীদের বহনকারী উড়োজাহাজটি। মঙ্গলবার এটি লিবিয়ার বেনগাজি শহর থেকে ছেড়ে আসে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইওএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়া প্রস্থানের আগে প্রত্যাবর্তনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কাউন্সেলিং পরিষেবা, যাতায়াত, স্ক্রিনিংসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয় আইওএম। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব প্রত্যাবর্তনকারীকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দেওয়া হয় এবং প্রস্থানের আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা (পিসিআর) করা হয়।

ফিরে আসা এক অভিবাসী বলেছেন, লিবিয়ায় জীবন অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল। কারণ সেখানে প্রতিকূলতা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে না পারায় দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আইওএম জানায়, স্বেচ্ছায় মানবিক প্রত্যাবর্তন (ভিএইচআর) কর্মসূচি আটকে পড়া বা আটকে থাকা অভিবাসীদের বিশেষত দ্বন্দ্ব-সংঘাতগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জীবন রক্ষাকারী। ২০১৫ সাল থেকে মোট ২ হাজার ৯৪২ জন বাংলাদেশি এই কর্মসূচির মাধ্যমে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।

এসএইচ-৩৮/০৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)