কোরবানির গরুর সঙ্গে মোটর সাইকেল ফ্রি দিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সাইফুল ইসলাম।
গত ১ বছর দুই মাস লালন পালন করার পর প্রস্তুত করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের সেরা আরএমটিপি বাদশাকে। গরুটির বয়স দুই বছর ৬ মাস। দাম হাকা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ টাকা। তবে গরুটির সঙ্গে ক্রেতা ফ্রি পাবেন ১৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেল।
ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ঢাকাইয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। বেসকারি উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও কর্তৃক বাস্তবায়িত এবং পিকেএসএফ এর আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত আরএমটিপি, নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের আওতায় সাইফুল ইসলাম প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের টাকায় ২০২১ সাল থেকে বাদশাকে লালন পালন শুরু করেন।
এবারের কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাদশা এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। গরুটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাছেন।
ঢাকাইয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ১০ ফুট লম্বা, ৬ ফুট উচ্চতায় গরুটির ওজন ১ হাজার ২শ কেজি। গরুর মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গরু মোটাতাজা করার জন্য
এখন পর্যন্ত তার শরীরে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। বাদশাকে নিরাপদ খাদ্য পদ্ধতিতে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র ও দানাদার খাদ্য খাওয়ানো হয়েছে। তার খাবারের তালিকায় রয়েছে খড়, মোলাসেস, দানাদার ফিড,গমের ভূষি ,ভূট্টা ও ধান গুড়া।’
তিনি আরও বলেন, ’এবার কোরবানির বাজারে এটি বিক্রয় করবো। আমার শখের গরুটি যে ব্যক্তি ক্রয় করবে তাকে গরুর সঙ্গে একটি পালসার মোটরসাইকেল উপহার দিব।’
গরুটি ক্রয় করতে চাইলে তার সঙ্গে ০১৭৬১৪৫০৮৩৪ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে ক্রেতাদের আহ্বান করে তিনি। এছাড়াও গরুটি বিক্রয় করার জন্য এফ কমার্সে ক্যাম্পেইন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিশাল আকৃতির এই গরুটিকে বাড়ি থেকে বের করতে হলে চোখ বেধে বের করতে হয়, তা না হলে সামলানো কঠিন হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ করতে মানুষ প্রয়োজন প্রায় ২৫-৩০ জন। তাই তিনি গরুটি হাটে না তুলে বাসা থেকেই বিক্রি করতে চান।
এ বিষয়ে আরএমটিপি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও প্রাণী চিকিৎসক ডা. বাবুল চন্দ্র বর্মন বলেন, গরুটি ক্রয় ও বড় করতে সব ধরণের সহযোগীতা করা হয়েছে আরএমটিপি প্রকল্প থেকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইএসডিও’র আওতায় প্রায় ২৪ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষিত করে গরু মোটাতাজাকরণে উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আরও দেখুন